ডিম খারাপ কি না তা কিভাবে বুঝবেন?
ডিম দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ উপাদান, কিন্তু ডিম তাজা বা খারাপ হয়েছে কিনা তা কীভাবে বিচার করবেন তা মাথাব্যথার বিষয়। এই নিবন্ধটি আপনাকে বিশদ বিচার পদ্ধতি প্রদান করতে এবং স্ট্রাকচার্ড ডেটার মাধ্যমে দ্রুত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে গত 10 দিনে ইন্টারনেটে আলোচিত বিষয় এবং গরম বিষয়বস্তুকে একত্রিত করবে।
1. ডিমের সতেজতা কীভাবে বিচার করবেন

ডিম তাজা বা নষ্ট কিনা তা নির্ধারণ করতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন:
| পদ্ধতি | অপারেশন পদক্ষেপ | বিচারের মানদণ্ড |
|---|---|---|
| জল ভাসানোর পদ্ধতি | পানি ভর্তি একটি পাত্রে ডিম রাখুন | তাজা ডিম নীচে ডুবে যাবে; বাসি ডিম ভেসে উঠবে বা ভাসবে |
| কাঁপানো পদ্ধতি | ডিমগুলো আস্তে আস্তে নাড়ুন | তাজা ডিম কোন শব্দ করে না; নষ্ট ডিম কাঁপানো শব্দ করবে। |
| আলোকসজ্জা পদ্ধতি | ডিমের উপর উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে দিন | তাজা ডিম অভিন্ন আলো সংক্রমণ আছে; নষ্ট ডিমের গাঢ় দাগ বা অস্বচ্ছতা থাকে |
| ঘ্রাণ পদ্ধতি | ডিম ভাঙ্গার পর গন্ধ পান | তাজা ডিমের কোন অদ্ভুত গন্ধ নেই; নষ্ট ডিমের একটি গন্ধক বা বাজে গন্ধ থাকে। |
2. ডিম সংরক্ষণের সময়কাল এবং অবস্থা তুলনা টেবিল
ডিমের শেলফ লাইফ তাদের অবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সাধারণ অবস্থায় ডিম সংরক্ষণের সময় নিম্নরূপ:
| রাষ্ট্র সংরক্ষণ করুন | রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ সময় | রুম তাপমাত্রা স্টোরেজ সময় |
|---|---|---|
| তাজা ডিম (ধোয়া নয়) | 4-5 সপ্তাহ | 1-2 সপ্তাহ |
| ধুয়ে ডিম | 2-3 সপ্তাহ | ঘরের তাপমাত্রায় স্টোরেজ করার জন্য সুপারিশ করা হয় না |
| শক্ত-সিদ্ধ ডিম (খোলে) | ১ সপ্তাহ | 2-3 দিন |
| পেটানো ডিমের তরল | 2-3 দিন | ঘরের তাপমাত্রায় স্টোরেজ করার জন্য সুপারিশ করা হয় না |
3. ডিম নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণ
যদি ডিমে নিম্নলিখিত অবস্থা থাকে বলে মনে হয়, তবে সেগুলি খারাপ হয়ে গেছে এবং খাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় না:
1.অস্বাভাবিক রঙ:ডিমের সাদা বা কুসুম সবুজ, কালো বা দাগযুক্ত।
2.অস্বাভাবিক গন্ধ:খোলার পরে একটি সুস্পষ্ট বাজে গন্ধ বা সালফারের গন্ধ রয়েছে।
3.টেক্সচার পরিবর্তন:ডিমের সাদা অংশ পাতলা এবং জলীয় হয়ে যায় বা কুসুম তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়।
4.শেল ব্যতিক্রম:খোসা ফাটা, ছাঁচযুক্ত বা আঠালো মনে হয়।
4. ডিমের শেলফ লাইফ কীভাবে বাড়ানো যায়
ডিমগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সতেজ রাখতে, এখানে আপনি কিছু করতে পারেন:
1.রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ:ডিমগুলিকে রেফ্রিজারেটরের বগিতে রাখুন এবং তাপমাত্রা 4 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখুন।
2.পরিষ্কার করা এড়িয়ে চলুন:ডিমের পৃষ্ঠে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক ফিল্ম রয়েছে। পরিষ্কার করা এই ফিল্মটি ধ্বংস করবে এবং অবনতিকে ত্বরান্বিত করবে।
3.স্টোর টিপ ডাউন:ডিমগুলোকে পয়েন্ট-সাইড নিচে রাখলে সেগুলো বেশিক্ষণ তাজা থাকবে।
4.সিল রাখুন:অন্যান্য খাবার থেকে গন্ধ শোষণ এড়াতে একটি বায়ুরোধী পাত্রে ডিম রাখুন।
5. সাধারণ ভুল বোঝাবুঝি এবং উত্তর
ডিমের বিচার এবং সংরক্ষণের বিষয়ে, ইন্টারনেটে কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। নিম্নলিখিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর:
1.ভুল বোঝাবুঝি:ডিমের খোসা যত গাঢ় হয়, তত বেশি পুষ্টিকর।
উত্তরঃডিমের খোসার রঙের সাথে পুষ্টির কোন সম্পর্ক নেই এবং মুরগির জাতটির উপর নির্ভর করে।
2.ভুল বোঝাবুঝি:ডিম ভেসে উঠলে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
উত্তরঃভাসমান ডিমগুলি কেবল বাসি হতে পারে, তবে অগত্যা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয় না। এটি অন্যান্য পদ্ধতির সাথে একত্রে বিচার করা প্রয়োজন।
3.ভুল বোঝাবুঝি:ডিম অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
উত্তরঃএমনকি যদি ফ্রিজে রাখা হয়, ডিমগুলি ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে এবং শেলফ লাইফের মধ্যে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
উপসংহার
উপরের পদ্ধতি এবং তথ্যের মাধ্যমে, আপনি সহজেই নির্ধারণ করতে পারেন ডিম তাজা নাকি নষ্ট। মনে রাখবেন, তাজা ডিমের শুধু স্বাদই ভালো নয়, এর পুষ্টিগুণও বেশি। আশা করি এই নিবন্ধটি আপনাকে আরও ভালভাবে ডিম সংরক্ষণ এবং খেতে এবং অপচয় এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সহায়তা করবে।
বিশদ পরীক্ষা করুন
বিশদ পরীক্ষা করুন